বাণিজ্যে অর্থায়ন ও বৈদেশিক বিনিময়
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ
- আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে লেনদেন নিষ্পত্তির বিভিন্ন পদ্ধতি : ঋণপত্র; খোলা হিসাব বা বিক্রয় চুক্তি; অগ্রিম পরিশোধ
- এলসি'র মাধ্যমে আমদানি, অন্যদিকে চুক্তির মাধ্যমে রপ্তানি: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই দ্বৈত পদ্ধতির (এলসি ও চুক্তি) প্রভাব:
- আমদানী নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী ঋণপত্র ব্যতিত আমদানীর বিকল্প উপায়সমূহ
- প্রবাসি বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের বিপরীতে বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা
- বৈধ পথে রেমিটেন্স আনয়নের লক্ষ্যে গ্রাহকদের বা উদ্বুদ্ধ করণ কর্মসূচী
- ব্যালেন্স অব পেমেন্ট কী? ব্যালেন্স অব পেমেন্ট কীভাবে স্থানীয় মুদ্রার অধিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়নরক প্রভাবিত করে ?
- বৈদেশিক মুদ্রা বাজার কী? বাংলাদেশের মত ভাসমান মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার অধীনে মূল্য (বিনিময় হার) কীভাবে নির্ধারিত হয়?
- ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এর চলতি হিসাব ও ফাইনান্সিয়াল হিসাবের উপাদানসমূহ
- অনুকূল ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে আভ্যন্তরীণ ওয়েজ রেমিটেন্সের ভুমিকা
- LIBOR কী
- বহিঃদেশীয় ঋণ ব্যবস্থায় বহুল ব্যবহৃত বেঞ্চমার্ক সুদ হার সমূহ: SOFR, SONIA, TONA, EURIBOR
- অফশোর ব্যাংকিং ও এর কাজ
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদ হার (পলিসি রেট) পরিবর্তনের উর্ধমূখী ধারার ফলে মার্কিন ডলার- টাকা বিনিময় হারের উপর প্রভাব ও ফলাফল
- মার্কিন ডলারের সুদের হার বৃদ্ধি বাংলাদেশী টাকার মূল্যকে প্রভাবিত করার কারণ
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ও বাংলাদেশের রপ্তানির উপর এর ফলাফল
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং
- বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে আন্ডার ইনভয়েসিং এর প্রভাব
- আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং প্রতিরোধে পণ্যের দামের সঠিকতা যাচাইয়ের গুরুত্ব
- আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ প্রশমনে নীতিমালা বা পরামর্শ
- আন্তঃদেশীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে মূল্যের সঠিকতা যাচাই এর গুরুত্ব
- আমদানি এলসি প্রক্রিয়াকরণের সময় পণ্যের দামের সঠিকতা যাচাইয়ের পদ্ধতি ও কৌশল
- বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ঘাটতি পরিস্থিতিতে এলসি স্থাপনকারী ব্যাংকসমূহের আমদানী মূল্যের সঠিকতা যাচাই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং রেগুলেটরির ভুমিকা
- UCP -600, ISBP-745 এবং INCOTERM-2020 এর নীতিমালাসমূহ
- রপ্তানিকারকের পক্ষে একজন ব্যাংকারের এলসি প্রস্তুতি ও শিপমেন্ট থেকে শুরু করে রপ্তানি বিল আদায় পর্যন্ত প্রক্রিয়াসমূহ
- ডকুমেন্টারি কালেকশন এবং ডকুমেন্টারি ক্রেডিটের অপারেশনাল প্রক্রিয়া
- ওয়েজ আর্নার্স রেমিটেন্স কী?
- MFS কোম্পানিগুলির মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক বৈদেশিক রেমিট্যান্স সংগ্রহ সুবিধার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব
- বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও দেশের অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব
- বায়ার্স ক্রেডিট বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার সম্ভাব্য কারণ এবং বায়ার্স ক্রেডিট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাসমূহ
- Transferable LC কী? বাংলাদেশে Transferable LC এর ব্যবহার
- Standby LC কী? বাংলাদেশে Standby LC এর ব্যবহার
- আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে ওপেন একাউন্ট পদ্ধতি; পেমেন্ট গ্যারান্টি ব্যতীত ওপেন একাউন্ট পদ্ধতিতে রপ্তানির সাধারণ অনুমতি প্রদানের যৌক্তিকতা
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এলসি ব্যবস্থার পরিবর্তে বাংলাদেশে ওপেন এ্যাকাউন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তনের জন্য প্রস্তুতি বা পদক্ষেপসমূহ
- সেবা রপ্তানি বলতে কী বুঝায়? বাংলাদেশ থেকে সেবা রপ্তানি হয় এরকম কয়েকটি উদাহরণ দিন।
- সেবা রপ্তানি হিসেবে আন্তঃদেশীয় আউট সোর্সিংয়ের ভুমিকা
- রেগুলেটরি ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেবা রপ্তানির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা
- বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বিনিময় নিয়ন্ত্রণের প্রবিধানসমূহ (major exchange control regulations)
- বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থ পাচারের উপায়
- মুদ্রার বিনিময় হার প্রভাবিত করার কারণসমূহ *******
- বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হারের উপর বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা যোগানের প্রভাব
- কম্প্লাইং প্রেজেন্টেশন
- ব্যাংকিং লেনদেনের ভিত্তি তৈরীতে নথিপত্রের ভুমিকা
- UCPDC-600 এর আওতায় ডকুমেন্টারি এলসির নেগোশিয়েটিং ব্যাংকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
- অফশোর ব্যাংকিং এর সাথে ট্রাডিশনাল ব্যাংকিং এর পার্থক্য
- নিবাসি ব্যক্তি ও কর্পরেট সংস্থাগুলোকে অফশোর ব্যাংকিং অপারেশন এর আওতায় আন্তর্জাতিক ব্যাংক একাউন্ট খোলার বিষয়ে নতুন নীতিমালা। ব্যাংকিং খাত এবং বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে এই পরিবর্তনের প্রভাব
- বাংলাদেশের প্রধান প্রধান আমদানি অর্থায়ন এবং রপ্তানি অর্থায়নসমূহ
- বাণিজ্য অর্থায়নের ঝুঁকিসমূহ দূরীকরণের উপায়সমূহ
- একজন ব্যাংকার হিসেবে "অর্থ প্রদান না করা" অথবা "বিলম্বে অর্থ প্রদান"-এ দুটি বিষয় হতে উদ্ভূত সম্ভাব্য ক্ষতি কমানোর জন্য একটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশল। উভয় ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক এবং খেলাপি-উত্তর প্রতিকারমূলক পদ্ধতি
- বাংলাদেশের ট্রেড ফাইনান্সের সাধারণ জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমসমূহ
- ব্যাংকের নস্ট্রো একাউন্ট ব্যালেন্স কী? বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সাথে এর পার্থক্য কী?
- Document against Acceptance (DA) এর অধীনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ এবং ঝুঁকিসমূহ প্রশমিত করার ব্যবস্থা
- বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের সুবিধা, অসুবিধা এবং উপযুক্ততার পরিপ্রেক্ষিতে এলসি এবং ডকুমেন্টরি কালেকশনের মধ্যে পার্থক্য
- একজন আমদানিকারকের পক্ষে এলসি খোলার সময় কী কী শতর্কতামূলক ব্যবস্থা বিবেচনা করা উচিত?
- ডকুমেন্টরি ক্রেডিট কী? বাংলাদেশে আমদানি করার ক্ষেত্রে ডকুমেন্টরি ক্রেডিট এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল পদ্ধতি
- বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কর্তৃক আমদানিকারককে প্রদত্ত ফান্ডেড ঋণ সুবিধা আলোচনা করুন।
- ডকুমেন্টরি ক্রেডিটের অধীন উপস্থাপিত নথিগুলোতে সাধারণতঃ কী কী অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়?
- বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিল অব লেডিং-এর গুরুত্ব বর্ণনা করুন। কীভাবে এটি শিরোনাম নথি এবং পরিবহনের চুক্তি হিসেবে কাজ করে?
- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ হতে রপ্তানির জন্য শিপিং ডকুমেন্ট পরিচালনা এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে 'অনুমোদিত ডিলার' ব্যাংক শাখাসমূহের ভূমিকা
- বৈদেশিক মুদ্রার নিট ওপেন পজিশন এবং এক্সচেঞ্জ পজিশনের মূল উপাদানসমূহ
- এক কার্যদিবস শেষে Overbought অথবা Oversold-এর সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিসমূহ
- বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড অর্থায়ন সুবিধাসমূহ
- বিল ডিসকাউন্টিং কী? বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে রপ্তানি বিল ডিসকাউন্টের জন্য অনুসরণীয় বিষয়সমূহ
- রপ্তানি অর্থায়নের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিসমূহ এবং এই ঝুঁকিসমূহ হ্রাসের জন্য প্রতিকারসমূহ
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যর শর্তানুযায়ী কোন পণ্য রপ্তানির জন্য FOB এবং এলসি'র মাধ্যমে লেনদেন করতে হলে প্রধান প্রধান প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ কী কী (if the agreed Inco-Term is FOB and payment method is LC, What are the main documents required for transactions?
- রপ্তানি লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান নথিগুলোর উদ্দেশ্য এবং মূল উপাদান
- টীকা ও পার্থক্যসমূহ:
(১) বিল অব এক্সচেঞ্জ; (২) লজমেন্ট অফ ইমপোর্ট বিল; (৩) এল সি এর ট্রান্সপোর্ট ডকুমেন্টস;
(৪) ফিনান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম; (৫) স্টান্ডবাই লেটার অব ক্রেডিট; (৬) ব্যালেন্স অব পেমেন্ট
(৭) ইউপাস এলসি; (৮) ব্যাক টু ব্যাক এলসি; (৯) NTA হিসাব
(১০) বিল অব এন্ট্রি; (১১) বিল অব লেডিং (১২) এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন
(১৩) বায়ার্স ক্রেডিট ; (১৪) ক্রাউলিং পেগ; (১৫) অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রভাইডার
(১৬) কারেন্সি কনভার্টেবিলিবিটি (১৭) ফ্যাক্টরিং; (১৮) ভ্রমন কোটা
(১৯) ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ; (২০) SOFR; (২১) রিসিভেবল ফাইনান্স;
(২২) নিট ওপেন পজিশন (NOP) অব ফরেন এক্সচেঞ্জ; এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন; ডকুমেন্টারি কালেকশন;
ডিউটি ড্র ব্যাক; প্যাকিং ক্রেডিট; রেড ক্লজ লেটার অব ক্রেডিট;
(২৩) ওডি সাইট ও বিসি সেলিং রেট; (২৪) স্পট ও ফরোয়ার্ড বিনিময় হার (২৫) ব্যালেন্স অব ট্রেড ও ব্যালেন্স অব পেমেন্ট(২৬) নস্ট্র ও ভস্ট্র হিসাব; (২৭) LIM ও LTR; (২৮) প্রি শিপমেন্ট ফাইনান্স ও পোস্ট ইমপোর্ট ফাইনান্স
(২৯) মুদ্রার অধিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন; (৩০) ডকুমেন্ট এগেইন্স পেমেন্ট ও ডকুমেন্ট এগেইন্সট এক্সেপটেন্স; (৩১) বিক্রয় চুক্তি এবং পকুমেন্টারি এলসি;
(৩২) এফওবি এবং এফসিএ (FOB AND FCA); (33) ইউপাস এলসি এবং ডিফার্ড এলসি; (৩৪) রিভোকেবল ক্রেডিট এবং রেড ক্লজ এলসি;
(৩৫) ফ্লটিং এক্সচেঞ্জ রেট ও ক্রলিং পেগ মিড রেট; (৩৬) বৈদেশিক মুদ্রার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হার; (৩৭) BOP'র চলতি হিসাব এবং মূলধনী হিসাব
(৩৮) রিভলভিং এলসি এবং স্থানান্তরযোগ্য এলসি; (৩৯) ক্যাশ ইন অ্যাডভান্স এবং ওপেন একাউন্ট; (৪০) কমার্শিয়াল ইনভয়েস এবং প্রোফরমা ইনভয়েস।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য:
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হলো দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য, যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে, স্থানীয়ভাবে অনুপলব্ধ সম্পদ সংগ্রহ করতে বা বাজার সম্প্রসারণের জন্য পণ্য বা পরিষেবা বিনিময় করে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংগঠিত হয় কারণ কোনো নির্দিষ্ট দেশে উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা অন্য দেশের ব্যক্তি, ব্যবসা বা সরকার কিনতে চায়। বাণিজ্য মানুষকে প্রায়শই দেশের তুলনায় কম খরচে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও পরিষেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়। দেশগুলো এমন পণ্য বা পরিষেবা পেতে একে অপরের সাথে বাণিজ্য করে, যা উচ্চ মানের, কম দামের বা দেশে উৎপাদিত পণ্যের তুলনায় ভিন্ন। যে পণ্য ও পরিষেবা একটি দেশ অন্য দেশ থেকে কেনে, তাকে আমদানি বলে, আর যেগুলো অন্য দেশে বিক্রি করে, তাকে রপ্তানি বলে। আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল পক্ষ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের (বিক্রেতা) দায়িত্ব হলো পণ্য পাঠানো বা সরবরাহ করা, আর আমদানিকারকের দায়িত্ব হলো অর্থ প্রদান করা।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল পক্ষ (Core Parties in International Trade):
১. রপ্তানিকারক: ২. আমদানিকারক: ৩. সরকার: ৪. মালবাহী ফরওয়ার্ডার/লজিস্টিক প্রদানকারী: ৫. ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৬. শুল্ক কর্তৃপক্ষ: এই পক্ষগুলো বিশ্ববাজারে পণ্য, পরিষেবা এবং অর্থপ্রদানের মসৃণ প্রবাহ নিশ্চিত করতে একত্রে কাজ করে।
আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে লেনদেন নিষ্পত্তির বিভিন্ন পদ্ধতি:
১. ঋণপত্র (Letter of Credit - LC):
ঋণপত্র একটি আর্থিক দলিল বা ব্যাংকের নিশ্চয়তা পদ্ধতি, যেখানে আমদানিকারকের ব্যাংক রপ্তানিকারককে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর পেমেন্টের নিশ্চয়তা দেয়। ঋণপত্রে পণ্যের গুণগত মান, পরিমাণ, শিপিং সময়সীমা ইত্যাদি শর্ত উল্লেখ থাকে। রপ্তানিকারক নথিপত্র (যেমন বিল অব লেডিং, ইনভয়েস) জমা দিলে ব্যাংক পেমেন্ট করে।
আমদানিকারকের ব্যাংক রপ্তানিকারকের পক্ষে ঋণপত্র ইস্যু করে। এতে উল্লেখ থাকে যে, রপ্তানিকারক নির্দিষ্ট দলিল যেমন বিল অব লেডিং, ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট ইত্যাদি সরবরাহ করলে ব্যাংক অর্থ প্রদান করবে। এই পদ্ধতিতে ব্যাংকগুলো মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে এবং অর্থ পরিশোধ নিশ্চিত করে।
প্রক্রিয়া: 1. আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে চুক্তি হয়।
2. আমদানিকারক তার ব্যাংকে গিয়ে LC ইস্যু করে।
3. সেই LC রপ্তানিকারকের ব্যাংকে পাঠানো হয়।
4. রপ্তানিকারক পণ্য রপ্তানি করে এবং প্রয়োজনীয় দলিল প্রস্তুত করে ব্যাংকে জমা দেয়।
5. ব্যাংক দলিল যাচাই করে এবং অর্থ প্রদান করে।
২. খোলা হিসাব বা বিক্রয় চুক্তি (Open Account / Sales Contract)
এই পদ্ধতিতে পণ্য সরবরাহ ও অর্থ পরিশোধ একটি পূর্ব-নির্ধারিত চুক্তির ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়। এখানে ব্যাংকের সক্রিয় ভূমিকা থাকে না। রপ্তানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পণ্য সরবরাহ করে এবং আমদানিকারক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল্য পরিশোধ করে।
প্রক্রিয়া: 1. দুই পক্ষের মধ্যে বিক্রয়চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
2. রপ্তানিকারক নির্ধারিত পণ্য সরবরাহ করে।
3. চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের (যেমন: ৩০, ৬০ বা ৯০ দিন) মধ্যে আমদানিকারক অর্থ প্রদান করে।
৩. অগ্রিম পরিশোধ (Advance Payment)
এই পদ্ধতিতে আমদানিকারক চুক্তির আগে বা পণ্য প্রাপ্তির আগেই রপ্তানিকারককে সম্পূর্ণ বা আংশিক অর্থ পরিশোধ করে। অর্থ প্রাপ্তির পর রপ্তানিকারক পণ্য প্রেরণ করে।
প্রক্রিয়া:
1. আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে চুক্তি হয়।
2. আমদানিকারক পূর্বে নির্ধারিত অর্থ রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করে।
3. অর্থ পাওয়ার পর রপ্তানিকারক পণ্য রপ্তানি করে।
এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য মূলত টাকার লেনদেনের সময় এবং মাধ্যম (ব্যাংক বা সরাসরি) নির্ভর করে। এগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সাধারণত অনুসৃত এবং স্বীকৃত পদ্ধতি।
1 Comments
211686
ReplyDelete